কেন কোরিয়ান মালিকরা বাংলাদেশী কর্মীদের নিয়োগ দিতে চায়?

Korea news


কোরিয়ান মালিকরা সাধারণত কম বয়সী বাংলাদেশী কর্মীদের নিয়োগ দিতে আগ্রহী। এর মূল কারণ হলো—

✔ বেশি সংখ্যক অপেক্ষমান কর্মী: বাংলাদেশ থেকে অনেক কর্মী কোরিয়ায় কাজ করার জন্য অপেক্ষমাণ থাকে, যা মালিকদের সহজে কর্মী নিয়োগের সুযোগ করে দেয়।

✔ দ্রুত শেখার সম্ভাবনা: কম বয়সী কর্মীরা দ্রুত কাজ শিখতে পারে এবং কর্মস্থলের পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে সক্ষম বলে মনে করা হয়।

✔ উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি: মালিকদের ধারণা, কম বয়সী কর্মীরা দ্রুত কোরিয়ান ভাষা ও সংস্কৃতি রপ্ত করে, যা কর্মক্ষেত্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

বাস্তবে কোরিয়ান মালিকদের হতাশা কেন আসে?

অনেক মালিক আশানুরূপ ফল না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। কিছু সাধারণ কারণ হলো—


❌ শারীরিক ফিটনেসের অভাব: কর্মীদের অনেকেই পর্যাপ্ত শারীরিক শক্তি বা সহনশীলতা নিয়ে আসে না, যার ফলে কঠোর পরিশ্রমের কাজে টিকে থাকা কঠিন হয়।

❌ কোরিয়ান ভাষা ও সংস্কৃতির দুর্বলতা: কোরিয়ান ভাষা ও কর্মস্থলের শৃঙ্খলা না জানার কারণে মালিকদের প্রত্যাশা পূরণ হয় না।

❌ কাজ শেখার প্রতি আগ্রহের অভাব: অনেক কর্মী দ্রুত শেখার চেষ্টা না করায় মালিকরা তাদের পারফরম্যান্সে হতাশ হন।

ফলাফল কী হয়?

মালিকরা কর্মীদের পারফরম্যান্স দেখে চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই তাদের বরখাস্ত করে দেয়।

ভবিষ্যতে সেই মালিক এবং তার পরিচিত মালিকরা বাংলাদেশী কর্মীদের নিয়োগে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।

এতে বাংলাদেশের কর্মীদের জন্য কোরিয়ান চাকরির বাজার সংকুচিত হয়ে পড়ে।

বাংলাদেশী কর্মীদের করণীয় কী?

যারা কোরিয়ায় কাজ করতে চান, তাদের অবশ্যই আগেভাগেই কিছু প্রস্তুতি নেওয়া উচিত—


✅ শারীরিক ফিটনেস বাড়ান: কোরিয়ার কারখানাগুলোতে দীর্ঘ সময় কঠিন পরিশ্রম করতে হয়। তাই কোরিয়ায় আসার আগে নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং শারীরিক সক্ষমতা তৈরি করুন।

✅ কোরিয়ান ভাষা শিখুন: কোরিয়ান ভাষা না জানলে কাজ শেখা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই কোরিয়ায় আসার আগেই ভালোভাবে ভাষা শিখে নিন।

✅ কোরিয়ান সংস্কৃতি ও কর্মস্থলের নিয়ম জানুন: কোরিয়ান কর্মস্থলে কীভাবে আচরণ করতে হয়, কী কী নিয়ম মেনে চলতে হয়—এগুলো আগে থেকেই শিখে আসুন।

✅ পরিশ্রমী মানসিকতা গড়ে তুলুন: কোরিয়ায় সফল হতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতেই হবে। তাই মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়ে আসুন।

উপসংহার:

দি কর্মীরা সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে কোরিয়ায় আসে, তাহলে তারা ভালোভাবে কাজ করতে পারবে এবং কোরিয়ান মালিকদের আস্থা অর্জন করতে পারবে। এর ফলে ভবিষ্যতে আরও বেশি বাংলাদেশী কর্মীর জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাই এখন থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করুন এবং কোরিয়ায় ভালো কর্মসংস্থান নিশ্চিত করুন।


আপনার ভবিষ্যৎ আপনার হাতে—আজ থেকেই সঠিক প্রস্তুতি নিন!


সুত্র: Facebook, 

Min Ho Shin = shaikh murad Hossain 


Post a Comment

Previous Post Next Post